রাজধানীর পুরান ঢাকার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-ই নানা সমস্যায় জর্জরিত। এগুলোর মধ্যে ১২টি বিদ্যালয়ের অবস্থা আবার বেশি নাজুক। প্রায় সব বিদ্যালয়ই চলছে জরাজীর্ণ ক্লাসরুম নিয়ে, আছে শিক্ষক সঙ্কটও। মামলাসহ নানা জটিলতায় সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হালচাল নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্টের রোববার থাকছে চতুর্থ পর্ব।
প্রচলিত আছে, ‘একের ভেতর তিন’! এ আপ্তবাক্যের মতোই একটি রুমকে ঘিরে চলছে ‘মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কাজ। পুরান ঢাকার এ বিদ্যালয়টিতে নেই শ্রেণিকক্ষ, প্রধান শিক্ষকের রুম, টয়লেট। তাই এক রুমের ভেতরে-ই কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। বিদ্যালয়ে ৪টি শিক্ষকের পদ থাকলেও প্রধান শিক্ষকসহ ৩টি পদই শূন্য।
অন্যদিকে, ‘বাংলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’টি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ করা হলেও জায়গার মালিকদের কাছে এটি এখন গলার কাঁটা। তাই ক্লাসরুমের ভেতর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় তাদের। স্কুলের গেইট না থাকায় অভিনব কৌশলে বেঞ্চের সুরক্ষা দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, এমন দৃশ্যও এখন কাউকে অবাক করে না!
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক জানালেন, আদালতে মামলা থাকায় উদ্যোগ সত্ত্বেও এসব বিদ্যালয়ের জন্য কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসীরও সহযোগিতা চাইলেন তিনি।
ডিএইচ